পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক! শুনতে অদ্ভূত লাগছে? মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে, আদৌ এটা নিরাপদ কিনা? নারী ও পুরুষ, উভয়ের ক্ষেত্রেই!
বিশেষজ্ঞরা কিন্তু পরিষ্কার বলছেন, এতে সমস্যার কিছুই নেই। শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখতে হবে। আর সাবধানতা তো অবশ্যই নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বরং এটা বলছেন যে, পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক অনেক সুফলও রয়েছে। যেমন অনেক নারী যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্কের ফলে তাদের ব্যথা কমতে পারে।
একইসঙ্গে পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক ক্ষেত্রে অর্গাজম অনেকাংশে ক্র্যাম্প কমিয়ে দেয়। পিরিয়ড সংক্রান্ত অন্যান্য উপসর্গও কম করে। তবে সেইসঙ্গে সতর্কতামূলক হিসেবে কন্ডোম ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যা কিনা যৌন রোগ ও অন্যান্য সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াবে।
পাশাপাশি, পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে আরেকটি প্রশ্নও মনে আসে। তা হলো পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক করলে আপনি কি প্রেগন্যান্ট হয়ে যেতে পারেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক করার ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম।
কারণ, ওভালিউশনের সময়ই একমাত্র কোনো নারী প্রেগন্যান্ট হন। মাসে একবারই ওভালিউশন হয়। আর সাধারণত কোনো নারীর ওভালিউশন হয় তার পিরিয়ডের অন্তত সপ্তাহ দুয়েক আগে, মানে ১৩ তম দিন থেকে ১৮ তম দিনের মধ্যে।
যেহেতু, একজন নারীর ঋতুচক্র আরেকজনের থেকে আলাদা। তাই এর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। আর শুক্রাণু কোনো নারীর শরীরের ভিতর ৭ দিন পর্যন্তও বেঁচে থাকতে পারে। তাই গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা সবসময়ই ভালো। সূত্র: জি নিউজ